হীৰেন্দ্ৰনাথ দত্ত|| ১৯৩৭-

        ছয়াঁময়া

কোন পাটিয়েদি যাম সখীয়তী-সুৰীয়া সুঁতিলে’

নিহিত নিৰ্দ্দেশ ক’ত স্ফুৰিত-শীতল এক জোনাকী কুণ্ডলে

কেনেকে দেখিম বাৰু সোণাৱালী সুৰাৰঙী তৰা যেন উজ্জ্বল

                                        শব্দৰ পাৰ্শ্বজ্যোতি,

কেনেকে পূৰাম বাৰু আশাতীত প্ৰেমে অনা আত্মিক নাটনি?

মই ভাল পাওঁ উৰণীয়া ডাৱৰৰ দৰে নিৰ্গুণ

                                        ভাৱনাৰ গঢ়ন-ভাঙন                                        

ভাগি ভাগি বাঢ়ি অহা কেতেকী-কণ্ঠৰ দৰে পাহাৰী

                                        বাটৰ অন্বেষণ

অৰ্কিডৰ ওলোমা শিপাৰ দৰে শূন্যতাৰ তৃষ্ণাৰে আকুল মোৰ মন;

কিন্তু খোপনি ধৰিম ক’ত?

কুমটিৰ অতৰ্কিত ক্ষিপ্ৰতাৰে সোপোকা শব্দৰ ভৰি দোমোজাৰ

                                        চিন্তানল ঘেৰি

সৃষ্টিশীল সমন্বয় মোৰ বাবে আলাউদ্দিনৰ দৰে দাপোণত দেখা

                                        পদ্মিনীৰ ছবি|

মনৰ পৰিধি বাঢ়ে বাঢ়ি অহা ভুলৰ বেগেৰে

বালিৰ ধুমুহা উৰে পোত যায় মৰুৰ ফাঁটত সন্ধিত্সু পথিক

ৰূপালী চুৰিকা পাতি বৰফে আঁকুহি ধৰে ভৰি

ফুলৰ কেশৰ-গ্ৰন্থি বৰষুণে উটুৱায়

চকুলোৱে ধুই নিয়ে আত্মাৰ সুৰভি;

নিশাৰ দুস্তৰ অৰণ্য ছেদি বয় নিৰ্লিপ্ততা-বিজড়িত বুঢ়া ওস্তাদৰ

                                        শ্বাস-ধ্বনি

যাৰ ঢৌৱে পুষ্ট কৰে গন্ধমাদনৰ অৰণ্যানী

কিন্তু কিমান, কিমান দূৰত সেই স্পৰ্শমণি?