যতীন্দ্ৰনাথ দুৱৰা

শূন্য পৰিচয়

মোৰ এই হিয়াখনি                জেতুকা পাতৰ দৰে
        সেউজীয়া বননিৰ বৰণেৰে ঢকা;
অন্তৰ জলোৱা ছবি                অতীতৰ স্মৃতি লই
        বুকুৰ তেজেৰে আছে অন্তৰতে অঁকা |
কত জন কাষলই                কতভাৱে আহি মোৰ
        তোলায় হিয়াত মোৰ সকৰুণ তান;
শূন্যত বিয়পি পৰি                শূন্যতেই যায় মাৰ
        ভাগ্যহীন জীৱনৰ সুৰহীন গান |
বিষাদ-বিননি মোৰ                গুজৰি গুমৰি উঠে;
        হ’ব পাৰে ইও এটি সপোনৰ ৰেখা;
সপোনৰ শেষ হ’লে                মোহ-জাল আঁতৰিলে
        দুনাই এনুৱাভাৱে দিবা জানো দেখা ?
জীৱনৰ আঁৰতেই                আছো মই সংসাৰত
        ছায়া মাথোঁ কায়াহীন বিফল বাসনা;
উটাই বুৰাই সোঁতে                টানি লই ফুৰে মোক
        প্ৰেমৰ মধুৰ ছবি অলীক কল্পনা |
অনাদৰ অৱহেলা                সকলো গোটাই লই
        ৰচোঁ মই জীৱনৰ কুসুম-কানন,

ইযে মোৰ কপালত                বিধিৰ নিঠুৰ লেখা
        এয়ে মোৰ জীৱনৰ কাঁইটীয়া বন |
নিৰলে থাকিম বুলি                সাজিছো ইয়াতে পজাঁ
        দাঁতিয়েদি বই যায় পাহৰণি-নই,
ধুনীয়া জোনাক ৰাতি        বহি তাৰ পাৰতেই
        শুনাম জীৱন-গীতি বীণখণি লই |
আকুল উদাৰ সুৰে                উঠিব জগত জুৰি
        গভীৰ বেদনা-ৰাশি অন্তৰ মাজৰ,
নেলাগে চেনেহ কাৰো        নিবিচাৰোঁ হুমুনিয়া
        সাগৰতে মাৰ যায় ঢউ সাগৰৰ |
দিনে দিনে দিন গই         মাহত মিলিব আহি
        মাহ আহি শেষ হয় বছৰ-বুকুত;
কালৰ পুতলা আমি                পাতোঁ নতুনৰ মেলা
        নতুন ৰহণ সানি পুৰণি চকুত |
এনেদৰে থাকোঁতেই                হঠাতে এদিন আহি
        কাল-পছোৱাই দিব চাকিটি নুমাই,
নিচিনা বাটেদি মোক        নজনা দেশৰ পিনে
        নিয়তিয়ে হাত ধৰি নিব আগুৱাই |
আকাশৰ জোন বেলি        চিৰকাল একেদৰে
        ওলাব সোমাব নিতে সন্ধিয়া পুৱাত
জহ জাৰ বাৰিষাত                বনফুল কুঁহিপাতে
        নিতউ নতুন বেশ বিলাব ধৰাত |
সংসাৰৰ বেচা কিনা                চলিব সদায় একে,
        মাথোঁ মোৰ দেহা হ’ব অনন্তত লয়;
পাহৰণি-নইখনি                পঁজাৰ কাষেদি বই
        দিব জগতত মোৰ শূন্য পৰিচয় |